বৃহস্পতিবার, ১৬ নভেম্বর, ২০১৭

আল্লাহ আমাদেরকে বিষয়টি বুঝার আর আমল করার তাওফিক দেন।

আল্লাহর উপর ইয়াকিনের সাথে পাহাড় দৃঢ় তাওয়াক্কুল ছোট বড় যেকোন পরিস্থিতিকে সফলভাবে পার করতে সাহায্য করে।
 তাওয়াক্কুলের আগে আমলকেন্দ্রিক আর অন্তরকেন্দ্রিক কিছু ব্যাপার সংশোধন করতে হয়, তা না হলে তাওয়াক্কুল অসম্পূর্ণ থেকে যায়।

আমল বিষয়ক দিক গুলো হল ফরজ হওয়া সব আদেশ, যেমন- হালাল উপার্জন, ৫ ওয়াক্ত নামাজ, রোযা, যাকাত, হজ্জ, সুন্নাহর উপর অটল থাকা, দাঁড়ি, নিকাব ইত্যাদি। সর্বোপরি আল্লাহর দেয়া আদেশ নিষেধগুলো একাগ্রতার সাথে মেনে চলা।
 তবে এই আমল গুলো স্রেফ শারীরিক এবং আর্থিক পরিশ্রমে পরিণত হবে যদি না অন্তরের হালতের দিকে নজর না দেয়া হয়, প্রাণহীন আমল করে যাওয়া হয়।
.
অন্তরের স্থিরতা আসে সম্পূর্ণভাবে আল্লাহর মুখাপেক্ষিতায়। পুরোপুরি আল্লাহর মুখাপেক্ষি হয়ে যেতে হবে। ছোট থেকে ছোট জিনিসের জন্য আল্লাহর তায়ালার কাছে ফরিয়াদ জানাতে হবে। এক গ্লাস পানি ঢেলে খেতেও আল্লাহর সাহায্য চান। সাহাবীরা জুতার ফিতা ছিঁড়ে গেলেও দুই রাকাত নামাজ পড়ে আল্লাহর কাছে সাহায্য চাইতেন। সাহাবীরা সামান্য দুনিয়াবি বিষয়েও ষোল আনা আল্লাহর মুখাপেক্ষী থাকতেন। আল্লাহ মুখাপেক্ষিতাকে তাঁদের অন্তরের গহীনে শক্ত করে গেঁথে নিয়েছিলেন। দৃঢ় বিশ্বাস করতেন বিশ্ব জাহানের মালিকই তাদের প্রয়োজন পূরণ করে দিবেন, অন্য কোথাও তাঁদেরকে ধরনা দিতে হবে না। আল্লাহ তায়ালার উপর বান্দা যেভাবে ধারণা করে, আল্লাহ বান্দার প্রতি সেভাবে সাড়া দেন। তাঁদের ধারণা যেমন মজবুত ছিল, তেমনি আল্লাহ তাঁদেরকে অমন সাহায্য করেছেন। আমাদের ধারণা যেমন হবে, আমাদের প্রতিও তেমন সাহায্য আসবে।
.
ছোট ছোট ব্যাপারে আল্লাহর মুখাপেক্ষিতার অবস্থা যদি এই হয়, তাহলে আমল গত বিষয়ে স্থির থাকার মত সিরিয়াস ব্যাপার গুলোতে আমাদের আল্লাহর উপর কেমন ধারণা আর তাওয়াক্কুল রেখে চেষ্টা করে যেতে হবে? অন্তরের স্থিরতা, সবরের সাথে আল্লাহর ইবাদত করে যাওয়া, ইহসানের সাথে নামাজ আদায় করার মত বিষয় গুলো যদি আমরা আমাদের জীবনে সুন্দরভাবে সেট করতে পারি, তাহলে দ্বীন দুনিয়ার বাকি সব ব্যাপার গুলো আমাদের জন্য সহজ হয়ে যাবে।
.
"যেখানে আপনি আপনার রাতের ঘুমকে হারিয়েছেন, যেখানে আপনার হৃদয় ক্ষতবিক্ষত হয়েছে, সেখানেই ঘুরে ফিরে মৌন ভিক্ষার ঝুলি পেতে বসে আছেন। আল্লাহ আপনার ঈমানকে ঐ বিষয়ের সাথেই জুড়ে দিবেন, যতই আপনি মুখে বলা তাওয়াক্কুল রাখেন না কেন।আল্লাহকেন্দ্রিক সব আশা ভরসা রাখুন, দুনিয়াবি এসব বিপর্যয় আপনাকে অস্থির করার ক্ষমতাও রাখবে না।"
.
ইনভার্টেড কমার মধ্যে লেখাটি আসলে উপরের তাওয়াককুলের বিষয় গুলোর তুলনায় নিতান্তই সামান্য বিষয়। কিন্তু এই সামান্য বিষয়টি অনেকের কাছেই বেশ বড় ব্যাপার। কারণ, তাদের চিন্তা চেতনাগুলো এই বিষয় কেন্দ্রিকই হয়ে থাকে।
আমরা আপনাদেরকে বলছি, সমস্যা গুলোর একটা একটা করে সমাধানের দিকে নজর না দিয়ে, সমস্যা যেন না ফেইস করতে হয় নিজেদেরকে সেভাবে প্রস্তুত করে নিতে।
 আপনার যদি ঈমান, আমল, তাওয়াককুল, অন্তরের হালত ঠিক না থাকে, তাহলে বারবার এমন শত শত সমস্যা আসতেই থাকবে, আর আপনি একটার পর একটা সমাধান করতে যেয়ে সমস্যাকে কেন্দ্র করেই নিজের সংশোধনে সাময়িকের মনোনিবেশ করে করে এক সময় বিরক্ত হয়ে যাবেন। এমনও হতে পারে বারবার সংশোধন করতে যেয়ে আপনি আসল বিষয়টি উপলব্ধি করে আপনার প্রায়োরিটি ঐ ঈমান আর আমলে সেট করতে পারবেন, এমনটাই যেন হয়। তবে সমস্যা তৈরি হওয়ার পরিবেশই না রাখার দিকে নজর দিলে আপনার জন্যই সহজ হবে।
.
কাজেই দুঃসময়ে জন্য স্রেফ অন্তরের স্থিরতাকে আমরা টার্গেট করে আল্লাহর মুখাপেক্ষি হওয়ার চেষ্টা করবো না। এভাবে চেষ্টা করেও কাজ হবে, কিন্তু তার স্থায়িত্ব হবে সাময়িক।
 কাজেই আল্লাহর মুখাপেক্ষি হতে হবে আল্লাহর জন্যেই, আল্লাহ আযযা ওয়াজাল'কে ভয় করে, তাঁকে ভালোবেসে, একাগ্রতার সাথে তাঁর ইবাদত করতে।
এমন যেন না হয় যে আমাদের উপর বিপদ আসলে আমরা শুয়ে বসে আল্লাহকে ডাকছি, আর বিপদ চলে গেলে তার নাফরমানি এমনভাবে করছি যে আগে কখনো আমাদের উপর কোন বিপদই আসে নি। আল্লাহ আমাদেরকে বিষয়টি বুঝার আর আমল করার তাওফিক দেন।
.
#HujurHoye

শনিবার, ১২ ডিসেম্বর, ২০১৫

এগুলো কখনো খবর হয় না

খবরঃ বিনা পয়সায় মাসে অন্তত একটি মামলা লড়ুন- প্রধান বিচারপতি।
বেখবরঃ আমি আমার চিকিৎসক জীবনের মাত্র ২ বছরে কমপক্ষে ২০০ রোগীকে বিনা পয়সায় চিকিৎসা দিয়েছি। প্রত্যেক চিকিৎসকের জীবনে এগুলো নিয়মিত ঘটনা। কিন্তু এগুলো কখনো খবর হয় না। খবর হয় কোন চিকিৎসক তার প্রাপ্য ফি ছাড়া চিকিৎসা না দিলে।

COLLECTED

বৃহস্পতিবার, ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৫

আসলে পাপ , আসলেই পাপ এই মেডিক্যাল প্রফেশনে আসা।

শুধু বাংলাদেশে কেন , পৃথিবীর কোথাওই উচ্চ মধ্যবিত্ত পরিবারের উচ্চাকাঙ্খী ছেলে মেয়েদের মেডিকেল প্রফেশনে আসা উচিৎ না।
কারন এখানে ক্যারিয়ার স্ট্যাবলিশমেন্টের জন্য যে পরিমাণ ডেডিকেশন আর যতটা সুদীর্ঘ পথ পাড়ি দিতে হয় , তার জন্য যথেষ্ট সময় বা সুযোগ কেউই আপনাকে দিবে না , না আপনার পরিবার , না আপনার উপার্জন।
তবে হ্যা। ধনী পরিবারের পড়ুয়া ছেলেমেয়েদের জন্য মেডিক্যাল প্রফেশনে আসা ভালো। কারন আপনি সাফল্য না পাওয়া পর্যন্ত আপনার পরিবার আপনাকে সাপোর্ট দিবে এবং আপনার উপার্জনের কথা চিন্তা করতে হবে না। প্রচুর খরচ করবেন এবং প্রচুর পড়ালেখা করবেন।
Life can be awesome. আমার কাছে এর প্রপার উদাহরনসহ প্রমাণ আছে যে অনেক কম মেধা নিয়েও ডেডিকেশন এবং ফ্যামিলি সাপোর্ট পেলে মেডিক্যাল প্রফেশনে অসাধারন ক্যারিয়ার তৈরি করা সম্ভব।
অথবা নিম্ন মধ্যবিত্ত বা মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তানদের জন্যও মেডিক্যাল প্রফেশন ভালো। কারন শুধুমাত্র এমবিবিএস করেই ক্লিনিক বা জিপি করে মাসে লাখ টাকা উপার্জন করা সম্ভব। একটা নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারের মাত্র একজন চিকিৎসক সন্তান পুরো ফ্যামিলি ব্যাকগ্রাউন্ড চেঞ্জ করে দেয়ার জন্য যথেষ্ট...
এই প্রফেশনে সবচেয়ে বড় পাপিষ্ঠ হলো উচ্চ মধ্যবিত্ত পরিবারের উচ্চাকাঙ্খী ছেলেমেয়েরা।
কারন এরা স্বপ্নের পিছে ছুটে না পারে টাকা কামাতে , আবার স্বপ্ন পুরন করতে এসে না পারে অভাব সামলাতে।
এরা না পায় ফ্যামিলি ব্যাক আপ , না থাকে এদের কোন স্ট্যাটাস...
আশেপাশের মানুষ সবাই ভাবে এদের কত টাকা , আর আজীবন গসিপ চলে যে এরা এত কৃপণ কেন!
এদের উপর কেউই সন্তুষ্ট না। ফ্রেন্ডস এন্ড ফ্যামিলির আজীবনের অভিযোগ যে সময় দেয় না , টেক কেয়ার করে না, কন্ট্রিবিউট করে না । কেউই এদের স্ট্রাগল আসলে বুঝে না। সবাই শুধু বুঝে নিজেরটা এবং কিভাবে এদের ইউটিলাইজ করা যায়।
এদের জীবনে বড় হতে হলে পার্সোনাল লাইফ সেক্রিফাইস করতে হয় , আনন্দ ফুর্তি বিনোদন সব সেক্রিফাইস করতে হয় , এদের প্রত্যেকটি সাফল্য অসংখ্য ইচ্ছামৃত্যুর স্মৃতি স্তম্ভের উপর নির্মিত হয়।
এরপরও যদি ১৫-২০ বছর স্ট্রাগল করে এদের মাঝে কেউ একটা লেভেলে যেতে পারে , তখন আবার পাবলিক এদের উপর খুশি না।
" একটু দেখলো আর ১০০০ টাকা নিয়ে নিলো!!!"
হায়রে স্যালুকাস। আসলে পাপ , আসলেই পাপ এই মেডিক্যাল প্রফেশনে আসা।
Zaman Sunny

রবিবার, ৭ জুন, ২০১৫

এত্তো কিছুর পরেও ........

তুমি কি এবার মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষা দিচ্ছো......প্লিজ আর একবার ভাব!

তোমরা যারা মেডিকেল কোচিং করছ...প্লিজ ভেবে দেখ...তুমি কি জেনে শুনেই ডাক্তার হতে চাচ্ছ?...যদি তাই হয় তবে

আসো না একটু ভাবি
---------------------
১। তুমি কি জান...ফেল না করলে MBBS শেষ করতে তোমার ৬ বছর লাগবে...এরপর উচ্চতর ডিগ্রী নিতে আরো ৫ বছর !
২। এর মধ্যে এমএস/এমডি ভর্তি হতে MBBS পাশের পর ২ বছর অপেক্ষা করতে হবে...মানে ৬+২+৫ = ১৩ বছর! ...
৩। এখানেই শেষ কথা নয়... তুমি হয়ত জাননা... উচ্চতর ডিগ্রীতে পাশের হার ১% বা তারও কম... সেক্ষেত্রে উচ্চতর ডিগ্রীতে গড়ে অতিরিক্ত ৩ বছর লাগবে... এর মধ্যে বিয়ে/গ্রামে ২ বছর পোস্টিং মিলে... তোমার আরো ৩ বছর নষ্ট হবে... এবার তবে যোগফল দাঁড়াল... ১৩+৩+৩=১৯ বছর! ...
৪। এরপরেও কথা আছে... তুমি পাশ করা মাত্রই বিশেষজ্ঞ হতে পারবেনা... নিদির্স্ট বিষয়ে দক্ষতা বাড়াতে তোমাকে আরো ৫ বছর অপেক্ষা করতে হবে...!!! সর্বশেষ ফলাফল ১৯+৫ = ২৪ বছর।
৫। আচ্ছা তুমি কি এইস এস সি পাশের পর এই ২৪ বছর নিজেকে পড়ালেখায় নিয়োজিত রাখতে প্রস্তুত?

যদি হ্যাঁ হয়, তবে শোনঃ
---------------------------
১। যতদিনে তুমি MBBS পাশ করবে ততদিনে তোমার সহপাঠিরা ছাত্রত্ব শেষ করে...পেশায় মনোযোগ দিবে।
২। তুমি যখন উচ্চতর ডিগ্রীতে ভর্তির সুযোগ পাবে... ততদিনে তোমার সহপাঠিরা নতুন প্রমোশন পাবে...বেল চেপে পিয়নকে দিয়ে চা আনাবে।
তুমি কি আরো জানো?
১। তোমার পিতা সংসারের দায়িত্ব তোমার হাতে তুলে দেয়ার প্রহর গুণতে গুণতে একসময় ইহলিলা সাঙ্গ করবেন।
২। তুমি একসময় অর্থাভাবে খেতে পারবে না... যখন তোমার অর্থাভাব চলে যাবে তখন তোমার শরীরে ডায়াবেটিস... প্রেসারের মতো রোগ বাসা বাধবে... তখনো তুমি খেতে পারবে না !
৩। সামাজিক সব আয়োজন থেকে তুমি থাকবে দূরে... ধীরে ধীরে মানুষ থেকে অসামাজিক জীবে পরিণত হবে।
৪। সন্তানের বেড়ে উঠা দেখার মতো সময়ও তোমার হাতে থাকবেনা।
৫। মানসিক বিকাশে বাধাগ্রস্ত শিশুর সংখ্যা ডাক্তারদের মধ্যেই বেশি !

তোমার এটাও জানা উচিতঃ
---------------------------
১। প্রতি বছর ৫০ হাজারের মত ছাত্র মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষা দেয়... মাত্র ৩ হাজারের মত চান্স পায়...
২। যারা চান্স পায় না... তাঁদের অনেকেই অন্য পেশায় যোগ দেয়...ডাক্তার না হওয়ার আফসোস তাঁদের অন্তরে থাকলেও... একসময় তাঁদের অনেকেই ডাক্তার বিদ্বেষী হয়ে উঠবে...উঠতে বসতে তারা তোমার চৌদ্দ গুষ্ঠি উদ্ধার করবে!

তুমি হয়ত জান নাঃ
-------------------------
১। বিদেশ প্রীতি আমাদের সহজাত প্রবৃত্তি......খেয়াল করলে দেখবা এসব লোক চিকিৎসার জন্য বিদেশের সরকারী হাসপাতালে যায় না... যায় বেসরকারীগুলোতে... তারাই কথায় কথায় তোমাকে কসাই বলতেও কুন্ঠা বোধ করবে না... ভারতের কথাই ভাব...নচিকেতা ভারতের লোক...ডাক্তারদের কসাই বলেই তিনি বিশেষ স্থান দখল করেছেন...অথচ, তাঁর গান ভারতীয় ডাক্তারদের উদ্দেশ্যেই ছিল।
২। এদেশের বিবেকবানরা চিকিৎসাবিদ্যা সম্পর্কে নূন্যতম জ্ঞান না রাখলেও পান্ডিত্য ফলাতে পিছপা হয় না।
৩। শুধু মাত্র পাশ করছেনা বলে প্রতিদিন কতজন যে আত্মহত্যার চেস্টা করে। বেসরকারী মেডিকেলে এ প্রবণতা অনেক বেশি। অনেক টাকা খরচ করে মধ্যাপ্রাচ্যে গিয়ে অনেকে আর আসতে চায় না। এতোটাকা নস্ট করে দেশে ফিরে কি করবে সে ভয়ে ফেরারী আসামীর মত লুকিয়ে লুকিয়ে কাজ করে অনেকে...বেসরাকারী মেডিকেলেও তাই...এত্তো টাকা খরচ করে অনেকে ফেল করতে করতে আত্মহত্যার দ্বার প্রান্তে গিয়েও ফিরে আসে...এই ভেবে যে মা-বাবার এতো টাকা খরচ করলাম...ডাক্তার না হলে কি হবে !
৪। নিরাপদ কর্মস্থলের অভাবে প্রায় প্রতিদিনই কোথাও না কোথাও চিকিৎসকরা নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন।
৫। এদেশে রোগীর চেয়ে ডাক্তারের সংখ্যা বেশি...ঔষধের দোকানদার ডাক্তার...পল্লি চিকিৎসক বড় ডাক্তার...পাশের বাড়ীর সব জান্তা আপা তাঁর চেয়েও বড় ডাক্তার...ঘরে ঘরে কত শত ডাক্তার...এখন যোগ হয়েছে গুগল ডাক্তার...গুগলে সার্চ দিয়েই যারা তোমার উপর পান্ডিত্য ফলাবে!

এবার তবে ভাব... তুমি কি সত্যিই ডাক্তার হতে চাও?

ও...আমার কথা বলছ?... নারে ভাই... আমার অবস্থাও আর দশজন ডাক্তারের মতোই... তবে, আমি সুখী...অনেক সুখী... মনে রাখবা, এ সুখ অনেক অশ্রু দিয়ে কেনা... ধরেও রাখছি কষ্টের আঁচলে... হোক না তা শারীরিক বা মানসিক কষ্ট !
তবে,

তুমি যদি এত্তো কিছুর পরেও সব মেনে নিয়ে এগোতে পারো...তবে নিশ্চিত থেকো, স্বর্গীয় সুখ শুধু এ পেশাতেই আছে।

তুমি পারবে তো? আমার ভয় হয়...কারণ তুমিও যে মানুষ!

সংগৃহীত লেখা 

বুধবার, ৩ জুন, ২০১৫

Knowledge without manners is like a cactus tree, though it's a plant but is harmful when touch!


"একবার একজন স্কলার-এর কাছ থেকে জানতে পারলাম, তিন আঙ্গুল ব্যবহার করে খাওয়া হচ্ছে সুন্নাহ। শোনার পর থেকেই প্রবল উদ্দীপনায় সুন্নাহকে আঁকড়ে ধরার আকাংখায় আমি তিন আঙ্গুলে খাওয়া শুরু করলাম। ব্যপারটা আমার জন্য খুব একটা সহজ কাজ ছিল না, বরং খেতে বসলে ছড়িয়ে ছিটিয়ে খাবার পরে জায়গা নষ্ট হওয়া শুরু করলো। আমার মা কিছুদিন ঘটনাটা লক্ষ্য করলেন। তারপর স্বাভাবিকভাবেই আমাকে তিনি এই চেষ্টা বন্ধ করতে বললেন। কারণ, আমি টেবিল ম্যানারস নষ্ট করছিলাম যা তিনি পছন্দ করছিলেন না। আমি এর উত্তরে এমন তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছিলাম ....... আজও আমার মনে হলে লজ্জায় কুঁকড়ে যাই। কি নিষ্ঠুর, অসভ্য আচরণ আমি আমার মায়ের সাথে করেছিলাম, তারপর 'বীরদর্পে' সশব্দে সব ছুড়ে ফেলে টেবিল ছেড়ে উঠে এসেছিলাম! আমার মায়ের সেই দুঃখক্লিষ্ট বোবা চাহনি আমি এখনো ভুলতে পারি না। আমি তখন 'সুন্নাহ প্রতিষ্ঠা' করতে এতোটাই নিমগ্ন ছিলাম, মায়ের সাথে কঠোর আচরণটা আমার কাছে খুব সামান্য ব্যপার মনে হচ্ছিল। আমার মাথায় শুধু ঘুরছিল, 'আমি রাসুলের সুন্নাহকে মেনে চলছি, সেখানে মায়ের অবাধ্যতা কোন বিষয়ই না'!!
শয়তানের ফাঁদ এইভাবেই পাতা থাকে। এইভাবেই ভালো জিনিসকে খারাপ ভাবে আর অন্যায়কে ন্যায় হিসাবে শয়তান আমাদের সামনে তুলে ধরে। সুন্নাহকে প্রতিষ্ঠিত করাটা এখানে মেইন ইস্যু না, বরং মুল বিষয়টা হচ্ছে, রাসুলুল্লাহ (সাঃ) এর প্রতি আজ্ঞানুবর্তী হত্তয়া। অথচ আমরা 'সুন্নাহকে প্রতিষ্ঠিত' করার নেশায় আপনজনদের সাথে এতোটাই কঠোর হয়ে যাই যে, রাসুলুল্লাহ (সাঃ) এর শেখানো নৈতিক আচরণ ও শিষ্টাচার শিক্ষা বেমালুম ভুলে যাই। উপরন্তু, তিন আঙ্গুলে খাবার খাওয়া সুন্নাহ কি সুন্নাহ না, সেটা যত না জরুরী তার চাইতে অনেক বেশী আবশ্যক হচ্ছে, মায়ের প্রতি সদাচার করা, মায়ের বাধ্য থাকা।
আজ এতদিন পরে যখন আমি পেছনে ফিরে তাকিয়ে নিজেকে দেখি, তখন উপলব্ধি করতে পারি যে, Knowledge without manners is like a cactus tree, though it's a plant but is harmful when touch!"
------ Sister Umm Reem এর লেখা একটি আর্টিক্যালের কিছু অংশের ভাবার্থ

সংগৃহীত 

মঙ্গলবার, ৫ মে, ২০১৫

বোধদয়

তার সাথে তখন প্রায় চার বছর পরিচয়।
ভাল ছেলে।
পাচ বেলা নামাজ পড়ে।
......
তখন ও আমি ব্যাপারটা জানতাম না।
....
দীর্ঘ চার বছর পর অন্য আরেক জনের কাছে জানলাম, " সে হাফেজ। কোরানে হাফেজ"
...
আমরা বিস্মিত হলাম। এতদিন ধরে পরিচয় কখনো ঘূর্নাক্ষরে জানতে ও পারলাম না!!!!
......
তাকে বললাম, " কিরে ভাই, এতদিনের সম্পর্ক। কই কখনো তো শুনলাম না তোমার মুখে.....
.........
তার জবাব ছিল আমার জন্য একটা ধাক্কা, বিস্ময় এবং রিয়ালাইজেশন।
.......
....
সে জবাব দিল- ভাই কথা সত্য। আমি হাফেজ। কিন্তু একজন হাফেজের যেভাবে জীবন যাপন করা উচিত আমি সেভাবে পুরোপুরি পারি না। কাজেই আমি হাফেজ পরিচয় দিলে, মানুষের হাফেজ সম্পর্কে ভুল ধারনা হবে।
.....
....
এই বোধদয় এখন আস্তিক, নাস্তিক, শিক্ষিত,অশিক্ষিত...... অনলাইনে, অফলাইনে দরকার। ভীষণ দরকার।

সংগৃহীত